প্রসঙ্গ: ঢাকা

ঢাকা আজিব শাহার।
নাম জাহাঙ্গীর নাগার,
দো চার শারিফ হ্যায়।
বাকী কুট্টি তামাম।

বহিরাগত মোগলরা তৎকালীন বাংলা ভাষী ঢাকাইয়াদেরকে কুট্টি বা ছোট লোক বিবেচনা করত! ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানকার মানুষকেও নিচু জাত ভাবত। কুট্টি বিষয়টা যদিও এসেছে মেহনতি মানুষের নানান পেশা থেকে—ধান কুটা, যব কুটা, হলুদ কুটা ইত্যাদি।

ঢাকার নাম ঢাকা কেন এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত।

কারো মতে, ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জনপদ থেকে ঢাকা নাম।

কেউ মনে করেন, প্রথম মোগল শাসনকর্তা ইসলাম খাঁ বজরা থেকে অবতরণের পর দেখেন হিন্দুরা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পূজা-অর্চনা করছে। ঢাকের শব্দে তিনি অবাক হন। পরবর্তীতে ঢাক থেকে ঢাকা নামকরণ হতে পারে।

আরেক বর্ণনায় আছে, রাজধানী বিক্রমপুর ও সোনারগাঁও এর ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য এ জায়গাটি ঢেক্কা বা ঢাক্কা তথা ডাক চৌকি হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে এটা ঢাকা নামে অভিহিত হয়েছে।

যেভাবেই নামকরণ হোক, সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদদের রক্তে রন্জিত এ শহর তাঁর শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসে নানা রাজনৈতিক ঘটনা চাক্ষুস করেছে। ‘৫২-র ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি, মুক্তিযুদ্ধের সূচনা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের সরব সাক্ষী কিংবদন্তীর এ শহর। জল্পনা-কল্পনার শহর, মিথের শহর!

বইগুলো ঢাকার ইতিহাস বিস্তারিতভাবে জানতে প্রচণ্ড সহায়ক। স্মৃতিরোমন্থন থেকে রসময় আলাপ কিংবা নির্ভেজাল ইতিহাস পাঠ সবই বিদ্যমান বইগুলোতে। সবরকমের পাঠকের চাহিদা সম্ভবত পূরণ করবে।

প্রাপ্তিস্থান: Kajol Book Depo

Leave a Reply