কাউ টু ক্রিপ্টোকারেন্সি — টাকার ইতিহাস

বিনিময় প্রথা পরবর্তী মুদ্রার সূত্রপাত গরুর লেজ গোনা থেকে! মানে যে জিনিসের যত দাম তার জন্য তত বেশী গরুর লেজ দিতে হবে ক্রেতাকে – কী আশ্চর্য কথা! এরকমই চমকপ্রদ তথ্য দিয়ে ঠাসা বইটা। মোট ৮ টি অধ্যায়ে টাকার বর্তমান রূপ পর্যন্ত ইতিহাসের নাড়িনক্ষত্র উঠে এসেছে এখানে। সবথেকে ভালো লেগেছে সর্বশেষ অধ্যায় অর্থের অর্থহীনতা।

টাকা বিষয়টা কমপ্লিটলি বিলিফ সিস্টেমের উপরে দাঁড়িয়ে। সেদিক থেকে টাকা ও ধর্মের মাঝে বিস্তর সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ, গড়পড়তায় ৮২ টাকার ইভাল্যুয়েশন যে ১ ডলার এইটা একচুয়ালি একটা “বিশ্বাস” স্কেলের উপরে দাঁড়িয়ে!

ক্যাশ টাকার চল প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। টাকা এখন শুধুই একটা কম্পিউটারের ডিজিট। মাস শেষে স্যালারি মানে যে একটা এসএমএস – এই বিষয়টা নিয়ে মজা করা হয়েছে বইয়ে। আসলেও তাই। সেজন্যই ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে খরচ কেন সাধারণত বেশী হয় তার একটা নতুন অ্যাঙ্গেলে ভাবনা পাওয়া যায়।

বইটা নিয়ে আমার অবজেকশন এক জায়গাতেই — প্রায়ই এটা ইনফরমেশন ওভারলোডেড পর্যায়ে চলে গেছে। আমার মনে হয়েছে সমসাময়িক ইতিহাসের সাথে টাকার এই বিবর্তনের একটা যোগসূত্র যদি স্থাপন করা যেতো তাহলে হয়তো এরকম তথ্য বন্যা মনে হতো না! এপারেন্টলি, আমি ভেবেছিলাম টাকার বিবর্তনের “কেন” ও “কীভাবে” অংশটা আরও সুন্দরভাবে উঠে আসবে লেখায়।

এনিওয়ে, সবমিলিয়ে আমার ভালো লেগেছে বইটা। হাইলি রিকমেন্ডেড।

বই : কাউ টু ক্রিপ্টোকারেন্সি — টাকার ইতিহাস 
লেখক : মো: আদনান আরিফ সালিম,  মো. আব্দুল হামিদ
প্রকাশনা : অন্যধারা
প্রকাশকাল : ২০২০
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৫৯
মলাট মূল্য : ২৮০

Leave a Reply